Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

টেকসই উন্নয়ন অর্জনের পথে আমাদের সম্মিলিত অগ্রযাত্রা

টেকসই উন্নয়ন অর্জনের পথে আমাদের সম্মিলিত অগ্রযাত্রা
ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার১ ড. সুস্মিতা দাস২
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে আমাদের সম্মিলিত অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আমরা স্বপ্ন দেখি এমন এক পৃথিবী যেখানে থাকবেনা ক্ষুধা-দারিদ্র্য রোগ-শোক অভাব-অনটন। স্বপ্ন দেখি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত  এক আলোকিত পৃথিবীর। LEAVE NO ON BEHIND (LNOB) IS THE CENTRAL, TRANSFORMATIVE PROMISE OF THE 2030 AGENDA FOR SUSTAINABLE DEVELOPMENT-এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এবং ১৬৯টি সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা সমন্বিত অবিচ্ছেদ্য। এরই মধ্যে কখনোই বিশ্বনেতৃবৃন্দ এত ব্যাপক পরিসরে ও সর্বজনীন নীতি প্রক্রিয়ার সম্মিলিত কর্ম প্রচেষ্টার অঙ্গীকারবদ্ধ হননি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের নিমিত্তে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের মধ্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ উল্লেখযোগ্য এবং অত্যাবশ্যক। যার স্বপ্ন দেখতেন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সেই সাথে এগিয়ে চলেছে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিতকরণের কার্যক্রম। তারই অংশ হিসেবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও প্রতিবছর বিশ্ব খাদ্য দিবস অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে আসছে। মানবজাতির অস্তিত্বের সঙ্গে খাদ্যের অপরিহার্যতার গুরুত্ব বিষয়ে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যেই ১৬ অক্টোবর কে প্রতিবছর বিশ্ব খাদ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কেননা এই দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘের অন্যতম একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)। বিশ্ব খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য Leave no one behind. Better production,better nutrition,a better environment and a better life’ এর ভাবার্থ ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে  নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বৈশ্বিক খাদ্য পুষ্টি অর্জনে সময় উপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়া। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রচিত ১৯৭২ সালের সংবিধানে নাগরিকের পুষ্টি উন্নয়নে রাষ্ট্রের প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। যার  উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধুর এই কৃষি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে আজকের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে স্থান করে নিয়েছে। পরিবর্তনশীল বিশ্বে সমতা ও বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ছয় বছর আগের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট স্থির করার পর যে তিনটি দেশ আগের অবস্থান থেকে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।জাতিসংঘের Sustainable development soolutions network report  ২০২১ সালের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলেছে এইচটিসি সূচকে বিশ্বের ১৬৫ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম। চার বছর আগে ২০১৭ সালে সূচকে ১৫৭টি দেশের মধ্যে ১২০তম অবস্থান ছিল বাংলাদেশের। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৬৩.৫। যা সত্যিই আমাদেরকে আশার আলো দেখায়।
এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও সমন্বিত নীতি কাঠামো প্রণয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রধান কারণ হচ্ছে অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। একইসঙ্গে এসডিজিকে সমন্বিত করা হয়েছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার (২০২১-২০২৫) সাথে যা উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে বৃহৎ অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে সমাজের দারিদ্র্য, সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে একীভূত করেছে। বাংলাদেশে কৃষি গবেষণায় প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে যার ফলে জীবিকা নির্ভর কৃষি থেকে বাংলাদেশের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
দেশের সার্বিক পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নেতৃত্বে জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অসংখ্য লাগসই প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন ফসলের জাত সার্বিক কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিসহ দেশের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে চলেছে। দেশে এক ও দুই ফসলি জমি অঞ্চল বর্তমানে ৪ ফসলের জমিতে পরিণত করা হয়েছে। ফসলের অধিকতর উৎপাদনের লক্ষ্যে এবং পুষ্টি নিরাপত্তা বিবেচনায় অঞ্চলভিত্তিক ফসল বিন্যাস এবং সে অনুযায়ী চাষাবাদ হচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘ক্রপ জোনিং’ এর গুরুত্ব অপরিসীম। ক্রমবর্ধমান খাদ্য উৎপাদন চাহিদার বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ক্রপ জোনিংভিত্তিক ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা এবং উৎপাদন কর্মসূচী গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ প্রসংগে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে বিএআরসি কর্তৃক প্রকাশিত ‘১০০ প্রযুক্তি এটলাস’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্রপ জোনিংয়ের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে এত্দবিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। বিষয়টি অতীব গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ক্রপ জোনিং প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই মধ্যে, ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৩০০টি উপজেলায় ৭৬টি ফসলের ক্রপ জোনিং সম্পন্ন হয়েছে, অবশিষ্ট ১৯৫টি উপজেলার ক্রপ জোনিং কার্যক্রম চলমান। ফসল উপযোগিতা নিরূপণ ও ক্রপ জোনিংয়ের জন্য জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) প্রযুক্তি নির্ভর অনলাইন ক্রপ জোনিং ইনফরমেশন সিস্টেম (CZIS) সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়েছে (www.cropzoning.gov.bd)। বিএআরসি স্থানভিত্তিক উপযোগী ফসল ও ফসল বিন্যাস, ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে আর্থিক লাভ বিষয়ক তথ্য এবং মাটির উর্বরতা অনুযায়ী ফসলভিত্তিক সার সুপারিশ কৃষক ও অন্যান্য উপকারভোগীর নিকট সরবরাহ করার লক্ষ্যে ‘খামারি’ নামে একটি মোবাইল আ্যপ প্রস্তুত করা হয়েছে। যা কৃষকদের সঠিক ফসল উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে ।
পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য দেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমূহের বিজ্ঞানীগণ তাদের ধারাবাহিক এবং নিরন্তর গবেষণার ফলে ধানসহ বিভিন্ন ফলদ শাকসবজির জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। ফলে সারা বছর শাকসবজি ও ফল ফলাদির চাষ হচ্ছে যা দেশের সার্বিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পুষ্টি ইউনিট মানুষের উন্নত পুষ্টির জন্য কাজ করে আসছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়নে নার্স ইনস্টিটিউট বিসিএসআইআর, বিএফএসএ, বারটান এবং পুষ্টিতে নিয়োজিত সংস্থাগুলির সাথে গবেষণা কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন করে চলেছে। এছাড়াও পুষ্টি সংক্রান্ত নিয়মিত প্রশিক্ষণ, খাদ্যে ভেজাল বিষয়ক গবেষণা অব্যাহত রেখেছে। শস্য পশুসম্পদ ও মৎস্য বিষয়ক পুষ্টিসহ উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত প্রযুক্তিগত পরামর্শ প্রদান করে আসছে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পুষ্টি ইউনিট।
জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ ভাতের মাধ্যমে পুষ্টি সরবরাহের লক্ষ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান (যেমন- জিংক, আয়রন, প্রোটিন, মিনারেলস্সহ শরীরের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যোপাদানগুলো) দেহের প্রয়োজন অনুসারে চালে সংযোজন, সরবরাহ বা পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বিশ্বের সর্বাধুনিক বায়োফর্টিফিকেশন ও জিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে, বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস এর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া উচ্চফলনশীল ও পুষ্টিসমৃদ্ধ শাকসবজি, ফলমূল, গম, তেল বীজ ফসল এবং ডালজাতীয় ফসলের বিভিন্ন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা আজ বহুলাংশে মিটানো সম্ভব হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান দেশের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দেশের বাস্তবিক ও বিজ্ঞানসম্মত খামার ব্যবস্থাপনা, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণসহ নানাবিধ গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৫ বছর মেয়াদি জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্প (NATP) কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ২০০৮ সাল থেকে দেশব্যাপী খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকল্পটি শিশু ও নারীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে দেশের গম, ডাল, তেলবীজ, শাকসবজি, ফলমূল ও দুধ মাংস উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
কৃষি গবেষণাকে আরো যুগোপযোগী করে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় আরো বেশি সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন। কৃষি মন্ত্রণালেয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সমন্বয়ে জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ প্রণীত হয়েছে। এ নীতিতে কৃষিকে আরও আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত বিভিন্ন প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চত করার লক্ষ্যে কৃষি নীতিতে নতুন করে ন্যানো প্রযুক্তির মতো আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর দেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের পথে হাটছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অন্যান্য জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত দশকের অভূতপূর্ব উন্নয়নের উদীপ্ত কর্মফলের ধারাবাহিকতা আগামীতে চলমান রাখতে পারলে আমরা আশান্বিত হতেই পারি ২০৩০ সালের এসডিজি গন্তব্যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত দেশ এবং ক্ষুধামুক্ত পৃথিবীর গর্বিত অংশীদার।

লেখক : ১নির্বাহী চেয়ারম্যান, ২প্রধান ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, মোবাইল : ০১৭১১১০২১৯৮, ই- মেইল :susmitabarc@gmail.com

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon